Print

 


ঢাকা, ৮ জুন, ২০১৪ (বাসস) : যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের জাতীয় সম্পদ। তাই নিজস্ব অর্থায়নে জুলাই মাসের মধ্যেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ,সেতুর চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে।
তিনি পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড-১/২ এবং মূল সেতুর এলাইনমেন্টে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনাগুলো ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বনানীস্থ সেতু ভবনের সভাকক্ষে পদ্মা সেতুর কন্টস্ট্রাকশন ইয়ার্ড-১/২ এবং মূল সেতুর এলাইনমেন্টে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ বিষয়ক এক সভায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী, মুন্সিগঞ্জ-২-এর সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন, শরিয়পুর-১-এর সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ, পদ্মা সেতু বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জি এস এম জাফর উল্লাহ, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান, শরিয়তপুরের জেলা প্রশাসক রামচন্দ্র দাস, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরিয়তপুরের পুলিশ সুপারগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সেতু বিভাগ ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ১৬ কোটি মানুষের কর্মযজ্ঞ বেড়ে যাবে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে পদ্মা সেতুর উভয় পাড়ে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনার জায়গা খালি করে দিতে হবে এবং এখনো যারা ক্ষতিপূরণ পায়নি তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, কার্যাদেশ প্রাপ্ত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি তাদের লোকবল নিয়ে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্মযজ্ঞ উপলক্ষ্য করে একটি প্রতারক চক্র লোক নিয়োগের নামে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লোক নিয়োগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ কিংবা সেনাবাহিনীর কোনো এখতিয়ার নেই। এটি কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিষয়। এ প্রতারক চক্রকে দমন করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।